বিজেপি নেতার বাড়িতে বর্ধমান পৌরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলর ! জল্পনা শহরে

6th January 2021 11:35 am বর্ধমান
বিজেপি নেতার বাড়িতে বর্ধমান পৌরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলর ! জল্পনা শহরে


পিন্টু প‍্যাটেল ( বর্ধমান ) : তৃণমূল শিবির ছেড়ে সদ‍্য বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ সুনীল মন্ডল । শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে দলবদল করেছেন তিনি । মঙ্গলবার বিধানসভা নির্বাচনকে উপলক্ষ‍্য করে পূর্ব বর্ধমানের কুড়মুনে আয়োজন করা হয়েছিল বিজেপির ডাকে জনসভা । সেই সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন রাজ‍্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ । সভায় যাওয়ার আগে বর্ধমানের উল্লাসে সুনীল মন্ডলের বাড়িতে আসেন দিলীপ ঘোষ । সেখানে ঘন্টা খানেক বিশেষ আলোচনাও হয় তার সাথে । সেই সুনীল মন্ডল এর বাড়িতেই দেখা গেল বর্ধমান পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডে র তৃণমূলের প্রাক্তন কাউন্সিলর শক্তিরঞ্জন মন্ডলকে ! বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন কি প্রাক্তন এই কাউন্সিলর ? সে বিষয়ে অবশ‍্য কিছু জানা যায় নি । সুনীল মন্ডলের বাড়ি থেকে তিনিও হাজির হন কুড়মুনে বিজেপির জনসভা স্থলে । অনেকের মনেই কৌতুহল । যদিও পূর্ব বর্ধমান জেলা বিজেপির সভাপতি সন্দীপ নন্দী জানিয়েছেন , ভাতার ও বর্ধমান উত্তর বিধানসভা এলাকা থেকে দলবদল প্রায় ৫০০ জন কালকের সভায় যোগদান করেছেন বিজেপিতে । প্রাক্তন কাউন্সিলর শক্তিরঞ্জন মন্ডল তিনি গিয়েছিলেন বলে অনেকের কাছেই শুনছেন কিন্তু দেখননি বলে জানিয়েছেন সন্দীপ নন্দী । তবে আগামীদিনে বর্ধমান শহরেও মেগা জয়েনিং হবে বলে জানিয়েছেন তিনি । এই প্রথম বর্ধমান পৌরসভার ৩৫ টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এর মধ‍্যে ১১ নম্বর ওয়ার্ডে র প্রাক্তন কাউন্সিলর কে দেখা গেল বিজেপি নেতাদের সাথে । তবে শক্তিরঞ্জন মন্ডল জানিয়েছেন , তিনি ওখানে একজন অসুস্থ র সাথে দেখা করতে গিয়েছিলেন । বিজেপিতে যাবেন কি না সে বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত তিনি নেননি । সভামঞ্চে আপনাকে দিলীপ ঘোষের পিছনে দেখা গেছে প্রশ্নের উত্তরে শক্তিরঞ্জন বলেন , তিনি সভা মঞ্চে যান নি । কি করে সাংবাদিকদের ক‍্যামেরায় ছবি ধরা পড়লো তা তিনি জানেন না ! 





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।